আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁহ :: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহতে পৃথক ঘটনায় এক দিন মজুর ও অপর এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এতে খুনের ঘটনায় জড়িত এক সন্ত্রাসীকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
৩ জানুয়ারি(রবিবার) দিনে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া চৌরাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দিন মজুর নুরুল আলম (৩০), ঈদগাহস্থ ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চর পাড়ার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হিন্দু পাড়ার হরিমোহন দে’র ছেলে দয়াল কান্তি দে ঘটনায় নিহত নুরুল আলমের ভাই গুরা মিয়ার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০ টার দিকে হঠাৎ দয়াল কান্তি ও তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মিলন কান্তির নেতৃত্বে ৮/৯ জনের সন্ত্রাসী ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকার জেরে বড় ভাই নুরুল আলমকে কথা কাটাকাটির জেরে বেদড়ক মারধর শুরু করে।এক পর্যায়ে খুনির দল নুরুল আলমকে সৌর বিদ্যুতের খুঁটিতে ছুড়ে মারলে সে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ।ঐসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে ঘাতক দলের সদস্য মিলনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এবং হতভাগা দিন মজুর নুরুল আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে ।
স্থানীয় মেম্বার সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন । ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ(পরিদর্শক) আব্দুল হালিমের সাথে কথা জানান,নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। পাওনা টাকার জেরে নির্মম এ খুনের ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে । এলাকাবাসী অবিলম্বে প্রধান খুনি দয়ালসহ তার বাহিনীর অন্য খুনিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান ।স্থানীয়রা আরো জানান, এ দয়াল কান্তি দে দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে এলাকার বেকার যুবকদের দিয়ে বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসলেও সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকায় লোকজন প্রতিবাদের সাহস করেনি।এ সুযোগে উক্ত খুনি ও তার বাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে এ খুনের ঘটনার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
এদিকে একই দিন সকাল ১১ টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস- বাঁশকাটা রাস্তার এসিএপ পাহাড় সংলগ্ন স্থানে টমটমে ধাক্কায় জান্নাতুন নাঈম(৫) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত শিশুর বাড়ি ঈদগাঁহস্থ ইসলামাবাদ ইউনিয়নে বলে জানা গেছে । ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ(পরিদর্শক) আব্দুল হালিম সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থলে পৌছেন এবং লাশ দাফনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম দূর্ঘটনায় শিশু নিহতের সত্যতা স্বীকার করেন।
পাঠকের মতামত: